প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

বিশ্বব্যাপী আসছে খাদ্য বিপর্যয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ মে ২০২২ ২১:০২:১৯ | আপডেট: ২ years আগে
বিশ্বব্যাপী আসছে খাদ্য বিপর্যয়
ছবি- দ্য ইকোনমিস্ট

করোনা মহামারির পর সবাই যখন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত তখনই 'আরেকটি যুদ্ধের' মুখোমুখি বিশ্ব। ইতিমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দেখা দিচ্ছে খাদ্য বিপর্যয়।

দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্য সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটেছে।

যুদ্ধের জন্য শস্য ও তৈলবীজের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা ইউক্রেন থেকে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়ার রপ্তানি কার্যক্রমও প্রায় বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী বেড়ে গেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। দেশে দেশে দেখা দিয়েছে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বে খাদ্যের বড় একটি অংশ রপ্তানি করে ইউক্রেন ও রাশিয়া। গমের পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের অর্ধেকেরও বেশি উৎপাদন করে দেশ দুটি। খাদ্যশস্যের জন্য বড় আকারে রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপ-এশিয়া-আফ্রিকার অনেক দেশ।

ইউক্রেন ও রাশিয়া একসাথে ক্যালোরির ১২ শতাংশ সরবরাহ করে। এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে ৫৩ শতাংশ বেড়েছে গমের দাম। ১৬ মে ভারতের গম রপ্তানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের পর আরও ছয় শতাংশ বেড়ে যায় খাদ্যপণ্যটির দাম।

গত ১৮ই মে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছিলেন, আগামী মাসগুলিতে "বিশ্ব ভয়ঙ্কর খাদ্য ঘাটতির" সম্মুখীন হতে পারে। যা বছরের পর বছর স্থায়ী হতে পারে।

বিশ্বজুড়ে খাদ্যের উচ্চমূল্য এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারে না- এমন মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটিতে। এছাড়াও ২৫ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

যদি যুদ্ধ চলমান থাকে আর রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে পণ্য সরবরাহে বিধিনিষেধ থাকে তাহলে আরও কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্যতার মধ্যে পড়তে পারে। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে। শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধি থমকে যাবে, অনাহারে দিন কাটাবে মানুষজন।

এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস সামনের দিনগুলোতে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।