ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ, আর নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় পৌনে ৭ লাখে।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫২২ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ কোটি ৫৫ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬৪ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ কোটি ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮২৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৮ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩ কোটি ৭০ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৯ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৬২৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯০ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ১৯৫ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭০২ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ৪২৯ জন, রাশিয়ায় ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৮৫৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০ জন, ইতালিতে ৪৪ লাখ ১৩ হাজার ১৬২ জন, তুরস্কে ৫৯ লাখ ৯৬ হাজার ২২৪ জন, স্পেনে ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ৪৭৩ জন, জার্মানিতে ৩৮ লাখ ৮ হাজার ৮১০ জন এবং মেক্সিকোতে ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।