মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে কাবু সারাবিশ্ব। যত দিন যাচ্ছে তত ভয়ংকর হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। প্রতিদিন বেড়েই চলছে মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তও হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো কাটেনি আতঙ্ক। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ কোটি ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের ওয়েবসাইট তথ্যানুযায়ী, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও সাড়ে ১০ হাজার ৩৪৪ মানুষ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২০১ জন। আর গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বে মারা যান ৭ হাজার ৯৬৯ জন এবং আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ মানুষ। ফলে গতকালের তুলনায় নতুন মৃত্যু ২ হাজারেরও বেশি বেড়েছে এবং নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।
এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০৫ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৩ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ১ হাজার ৫৭৬ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১০ হাজার ৪৩৬ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৮৩ লাখ ৬ হাজার ৮৮৩ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ১১৪ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় এক কোটি ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ৫৭২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩১২ জনের।
এদিকে আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স চতুর্থ, তুরস্ক পঞ্চম, রাশিয়া ষষ্ঠ, যুক্তরাজ্য সপ্তম, ইতালি অষ্টম, আর্জেন্টিনা নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম, যেখানে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৬৬০ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখ ২ হাজার ৩০৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।