রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর মাধ্যমে অভিষেক হলো নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের।
মঙ্গলবার জনসন বালমোরাল প্রাসাদ ছেড়ে যাওয়ার আধঘণ্টা পর সেখানে উপস্থিত হন ট্রাস।
বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জনসনের পদত্যাগপত্র সাদরে গ্রহণ করেছেন রানি। এরপরই নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দিতে ট্রাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রানি। নতুন প্রধানমন্ত্রী ট্রাসকে সরকার গঠনের আহ্বান জানান তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, খুব সাবধানতার সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। সাধারণত বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ আর নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া কয়েক মিনিটের ব্যাপার। ঐতিহ্যগত দিক থেকে এই আনুষ্ঠানিকতা বাকিংহাম প্যালেসে হয় এবং সেখানে যেতে কম সময় লাগে। যদিও এবার বারমোরাল প্রাসাদে অনুষ্ঠান হওয়ায় জনসন এবং ট্রাস দুজনকেই বেশ খানিকটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে।
এদিন নতুন প্রধানমন্ত্রী ট্রাস এবং বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জনসন আলাদাভাবে বালমোরাল প্রাসাদে যান। সেখানে যাওয়ার আগে জনসন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে বিদায়ী ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি তুলে ধরেন ব্রেক্সিট, কোভিড টিকাসহ তার সরকারের নানা সফলতা। বাদ যায়নি ইউক্রেন প্রসঙ্গও। তার বক্তব্যের সময় সেখানে ছিলেন স্ত্রী ক্যারি, এমপি, সহযোগী এবং তার মিত্ররা। তবে বক্তৃতায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলতে ভোলেননি জনসন।
তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জ্বালানি সংকট তৈরি করে যুক্তরাজ্যের জনগণকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবেন না। নতুন কনজারভেটিভ সরকার এই সংকট কাটিয়ে উঠবে। বক্তব্যে জনসন নতুন প্রধানমন্ত্রী ট্রাসকে জোরাল সমর্থন করার কথাও বলেন।