প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে টিকতে পারবেন বরিস জনসন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭ জুলাই ২০২২ ১৪:২১:৪০ | আপডেট: ২ years আগে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে টিকতে পারবেন বরিস জনসন?

করোনাকালে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে নিজের ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসে এবং সরকারি বাসভবনে পার্টি আয়োজন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ জন্য পুলিশ তাকে জরিমানাও করে। 

জনসন ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন। কিন্তু গত দুবছর ধরেই তিনি একের পর এক কেলেংকারিতে জড়িয়ে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারিয়েছেন।

এসব কারণে জনসন গতমাসেই তার দলের এমপিদের এক আস্থা ভোটের মুখোমুখি হন। যদিও তিনি তাতে জয়ী হন।

এর মাঝেই ঘটে আরেক ঘটনা। দলের এক এমপি’র বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগকে ঘিরে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্ব এই সর্বশেষ সংকটে পড়েছে।

কনসারভেটিভ পার্টির এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি একজনের ওপর যৌন হামলা চালিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও কেন প্রধানমন্ত্রী জনসন মিস্টার পিঞ্চারকে ডেপুটি চীফ হুইপ নিয়োগ করেন- এটি নিয়েই মূলত তোপের মুখে পড়েন।

আরও পড়ুন- মহা চ্যালেঞ্জে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীদের পদত্যাগের হিড়িক

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই মন্ত্রীর নাটকীয় পদত্যাগ ব্রিটিশ রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এরপরই একের পর এক জুনিয়র মন্ত্রীরাও পদত্যাগ করতে থাকেন বরিস জনসনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একজন মিত্র বলেছেন, এখন প্রশ্ন আসলে তিনি কিভাবে বিদায় নেবেন।" তিনি আরও বলেছেন, পরিস্থিতি আর তার টিকে থাকার মত অবস্থায় নেই।

বুধবার পার্লামেন্টে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কির স্টার্মারও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিকবার পার্লামেন্টে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেবার অভিযোগ তোলেন।

কিন্তু মি. জনসন তার পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তার সরকার অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভালো কাজ করছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

কনসারভেটিভ পার্টির নিয়ম অনুসারে, দলের ভেতর আস্থাভোটে জয়ী হওয়ার পর এক বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন করে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যায় না। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে এই নিয়ম বদলানোর দাবি উঠেছে।

যদি ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ পার্টির এই নিয়ম পাল্টানো হয়, তাহলে জনসনকে সাথে সাথেই দলের পার্লামেন্টারি পার্টিতে নতুন একটি অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হবে বলে আশংকা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তবে যদি পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় এবং সেটিতে তিনি হেরে যান, তাহলে হয় তাকে পদত্যাগ করতে হবে, নয়তো নতুন নির্বাচন ডাকতে হবে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা