প্রেমিকাকে খুন করে মরদেহ ফ্রিজে রেখে কয়েক ঘণ্টা পরই বিয়ে করলেন দিল্লির ধাবার (এক ধরনের রেস্তারাঁ) মালিক সাহিল গহলৌত।
মঙ্গলবার নিক্কি যাদব (২৬) নামের এক নারীর মরদেহ সাহিলের ধাবার ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুনের কথা স্বীকার করে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, গতকালই খুনের অভিযোগে সাহিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সাহিল জানিয়েছেন, তার সঙ্গে নিক্কি যাদবের সম্পর্ক ছিল। ২০১৮ সালে দিল্লির উত্তম নগরের কাছে একটি কোচিং সেন্টারে নিক্কির সঙ্গে তার আলাপ হয়। কিছু দিন মেলামেশার পর তাদের বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। এরপর তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করেন।
সাহিলের দাবি, তার পরিবার তাকে বিয়ের জন্য জোর করছিল। শেষমেশ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে পরিবারের পছন্দের মেয়ের সঙ্গে সাহিলের আশীর্বাদ এবং বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ৯ এবং ১০ তারিখ বিয়ে করার কথা ছিল সাহিলের। কিন্তু নিক্কিকে এই বিষয়ে কিছুই জানাননি তিনি।
সাহিলের বিয়ের ব্যাপারে পরে জানতে পারেন ২৬ বছর বয়সী নিক্কি। তারপর দুজনের মধ্যে এই নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। পুলিশের কাছে সাহিল স্বীকার করেছেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি নিক্কির সঙ্গে গাড়ি চালিয়ে কাশ্মীর গেটের আইএসবিটির কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সাহিল। গাড়ির ভেতরে দুজনের তুমুল ঝগড়া হয়। তখনই নিক্কিকে খুন করেন সাহিল।
পুলিশের কাছে সাহিল জানিয়েছেন, গাড়ির মধ্যে থাকা একটি ডেটা কেবলের তার নিক্কির গলায় জড়িয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন তিনি। তারপর নিক্কির মরদেহ নিজের ধাবায় নিয়ে আসেন। ধাবার একটি ফ্রিজের মধ্যে নিক্কির মরদেহ লুকিয়ে রাখেন তিনি। নিক্কির মরদেহ ফ্রিজে রাখার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সাহিল বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বলেও পুলিশকে জানান।
সূত্র: আনন্দবাজার