প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

মিয়ানমার সীমান্তে বিদ্রোহী বিরোধী অভিযান

‘ভুলক্রমে’ ছোড়া ভারতীয় সেনাদের গুলিতে ১৩ গ্রামবাসী নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩:০৩:০৫ | আপডেট: ২ years আগে
‘ভুলক্রমে’ ছোড়া ভারতীয় সেনাদের গুলিতে ১৩ গ্রামবাসী নিহত
বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নিরাপত্তা বাহিনীর ৩টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ছবি: এনডিটিভি

বিদ্রোহী গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযানে ভারতীয় সেনাদের ‘ভুলক্রমে’ ছোড়া গুলিতে নিজ দেশেরই ১৩ গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘেরাও করে বাহিনীর তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় এক সেনা সদস্যও নিহত হয়েছেন।

শনিবার দিবাগত রাতে নাগাল্যান্ডের মায়ানমার সীমান্তের কাছে অভিযান চলাকালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একটি বিশেষ তদন্ত দল ঘটনাটি তদন্ত করবে বলেও জানান তিনি।

এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী মোন জেলায় বিদ্রোহী বিরোধী অভিযানের জন্য প্রস্তুত ছিল। বিদ্রোহীদের সম্ভাব্য গতিবিধির গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা ওটিং গ্রামের কাছে একটি অতর্কিত হামলা চালায়।

কিন্তু তারা তিরু-ওটিং সড়কের একটি গাড়িতে সেনারা গুলি চালায়, যেটি বিদ্রোহী নয়, বরং গ্রামবাসীকে নিয়ে যাচ্ছিল। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপরই বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘেরাও করে।

পুলিশ জানায়, “আত্মরক্ষায়” জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে অন্তত সাত গ্রামবাসী আহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি গাড়িতেও আগুন দেয়া হয়।

একটি বিবৃতিতে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে, বিদ্রোহীদের সম্ভাব্য গতিবিধির বিশ্বাসযোগ্য বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতে, নাগাল্যান্ডের তিরু, মোন জেলার এলাকায় একটি সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু এ ঘটনায় তারা গভীরভাবে অনুতপ্ত।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ভাগ্যজনক প্রাণহানির কারণ বের করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও গুরুতর আহত হয়েছে এবং একজন সৈন্য মারাও গেছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে বলেছেন, নাগাল্যান্ডের ওটিংয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় তিনি শোকাহত। যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই। রাজ্য সরকার গঠিত একটি উচ্চ-স্তরের এসআইটি এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে। শোকাহত পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে।