বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গেছে এ যাবৎকালে তৈরি হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশযান স্পেসএক্সের স্টারশিপ। উৎক্ষেপণের কিছু পরেই এটি আকাশে বিস্ফোরিত হয়।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের নিজস্ব রকেট উৎক্ষেপণস্থল স্টারবেজ থেকে মনুষ্যবিহীন রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
কথা ছিল রকেটটি উৎক্ষেপণের তিন মিনিটের মধ্যেই উপরের অংশ থেকে বুস্টারটি বিচ্ছিন্ন হবে। কিন্তু তা না ঘটে বিস্ফোরণ হয়ে ধ্বংস হয়ে যায় স্টারশিপ।
তবে স্পেসএক্স একে ব্যর্থতা বলে মানতে নারাজ। বরং বিশাল মহাকাশযানটি যখন বিস্ফোরণে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে পরিণত হয়েছে, তখন সদর দফতরে চলছে উদযাপন।
তাদের বক্তব্য, মহাকাশযানটি যে মাটি থেকে ঠিকঠাক ভাবে উৎক্ষেপণ করা গেছে, সেটাই বড় সাফল্য।
স্টারশিপ এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। প্রায় এক দশক ধরে স্টারশিপের সক্ষমতা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। কিন্তু উৎক্ষেপণের দু-তিন মিনিটের মাথায় বিস্ফোরিত হয় শক্তিশালী রকেটটি।
এ ঘটনার পরে সংস্থার কর্ণধার ইলন মাস্ক স্পেসএক্সের কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘কয়েক মাসের মধ্যেই পরবর্তী পরীক্ষামূলক লঞ্চ। আর তার জন্য আজকের উৎক্ষেপণ থেকে অনেক কিছু শেখা সম্ভব হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, স্পেসএক্স এমন একটি মহাকাশযান তৈরি করতে চাইছে, যা বার বার ব্যবহার করা যাবে। স্টারশিপের উচ্চতা ৩৯৪ ফুট, যা স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চেয়েও ৯০ ফুট বেশি উঁচু। এই মহাকাশযানে ৩৩টি শক্তিশালী র্যাপ্টর ইঞ্জিন রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তিন মহাকাশচারীকে এই মহাকাশযানে করে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আগামী চন্দ্রাভিযানে চাঁদের বুকে নামার কথা রয়েছে স্টারশিপের। এটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।