নেপালের পোখারায় ৭২ আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর বিবিসি’র।
রোববার নেপালের আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া ফ্লাইটে নিহতদের ৬৮ জনের মধ্যে বিমানটির কো-পাইলট অঞ্জু খাতিওয়াড়াও ছিলেন।
অঞ্জু খাতিওয়াড়ার স্বপ্ন ছিল ক্যাপ্টেন হবার। স্বপ্ন পূরণ হতে বাকি ছিল আর মাত্র কয়েক সেকেন্ড, ফ্লাইটটি বন্দরে অবতরণ করলেই স্বপ্নের সিঁড়িতে পৌঁছে যেতেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পূরণ হলো না সেই স্বপ্ন।
২০০৬ সালের ২১ জুন এক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছিলেন অঞ্জু। তার স্বামীও একজন কো-পাইলট ছিলেন। স্বামী-স্ত্রী দু’জনই ছিলেন ইয়েতি এয়ারলাইন্সে। একটি ৯এল এইকিউ ফ্লাইটে নেপালগঞ্জ থেকে সুরখেত হয়ে জুমলা যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেই উড়োজাহাজটি। প্রাণ গিয়েছিল ছয় যাত্রী এবং চার কেবিন ক্রুর। নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন অঞ্জুর স্বামী। ১৬ বছর পর সেই ইয়েতি এয়ারলাইন্সের প্রাণ হারালেন অঞ্জু।
পোখারায় বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজের পাইলট ছিলেন সিনিয়র ক্যাপ্টেন কামাল কেসি। আর কো-পাইলটের আসনে ছিলেন অঞ্জু। রোববার পুরনো পোখারা বিমানবন্দর এবং পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝামাঝি এলাকায় এক বনভূমির মধ্যে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি সফলভাবে অবতরণ করলেই ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত হতেন অঞ্জু। সেই লক্ষ্যেই তিনি রোববার সকালে সিনিয়র পাইলট তথা তার প্রশিক্ষক কামাল কেসির সঙ্গে ফ্লাইটে চড়েন।
ক্যাপ্টেন পদে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য কোনো পাইলটের নির্ধারিত ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। সূত্রের খবর, কো-পাইলট হিসেবে নেপালের প্রায় সব বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করার অভিজ্ঞতা ছিল অঞ্জুর। বাকি ছিল শুধু এই নতুন বিমানবন্দরটি। সেই লক্ষ্য অপূর্ণ থেকে গেলো। চিফ পাইলটের লাইসেন্স পাওয়া থেকে মাত্র ১০ সেকেন্ড দূরে ভেঙে পড়ে তার স্বপ্ন।