রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের গতকাল ৩০তম দিন অতিবাহিত হয়েছে। এই এক মাসের যুুদ্ধে কী হয়েছে? রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। হাজারো লোক হতাহত হয়েছে।
আর ৩৬ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোয় শরণার্থী হতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলের থিয়েটারে যে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছিল তাতে অন্তত ৩০০ লোক নিহত হয়েছে। সেই নাট্যশালা পরিণত হয়েছে গণকবরে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
মরিপোলের উপপ্রধানমন্ত্রী পিটার অ্যান্ড্রিশেঙ্কো জানান, হামলার সময় ওই থিয়েটারে ৬০০ লোক আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩০০ জন নিহত হন। এদিকে গতকাল জাতিসংঘ জানিয়েছে, এক মাসের যুদ্ধে এক হাজারের বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে এ পর্যন্ত ১০৮১ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে আরও অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অপহরণ : জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইউক্রেনের যেসব এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানে বেশকিছু অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে সংস্থাটি ৩৬ জনের অপহরণের তথ্য পেয়েছে, যা জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যাচাই করা হয়েছে। তাদেরই একজন ভিক্টোরিয়া রোশকিয়ানা। পেশায় সাংবাদিক। ১৫ মার্চ তাকে অপহরণ করা হয়। তবে ৬ দিন পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জি-২০ থেকে বের করে দিলে তেমন কিছুই হবে না : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-২০ থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, জি-২০ থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া হলে ভয়াবহ তেমন কিছুই হবে না।
যুদ্ধের কেন্দ্র এখন পূর্ব ইউক্রেন : রাশিয়ার সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, আগামী দিনের যুদ্ধের মূল লক্ষ্য হবে পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস এলাকাকে পুরোপুরি স্বাধীন করা। এই লক্ষ্যে সেখানে লড়াই চলবে।