ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিউপোল এখন রুশ বাহিনী নিয়ন্ত্রণে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এরই মধ্যে তা দাবিও করেছেন। এ অবস্থায় শহরটিতে কী হবে, সেখানকার মানুষের ভাগ্যে কী ঘটবে- তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় শহরটির কর্তৃপক্ষ।
বন্দর নগরীটি অবরোধের পর সংঘটিত হত্যাকাণ্ড গোপন করতে সেখানে ৯ হাজার ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিককে কবর দিয়েছে রাশিয়া, স্যাটেলাইটের ছবিতে এমনটাই দেখা যাচ্ছে বলে দাবি কর্মকর্তাদের।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী এ অবস্থায় বলেছেন, রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণের কারণে মারিউপোল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।
ইরিনা ভেরেশচুক বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টেলিগ্রামে বলেন, ‘আমরা মারিউপোলের জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী যারা আজকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেনি। সংগ্রহের পয়েন্টের কাছে গোলাগুলি শুরু হয়েছিল, যা করিডোরটি বন্ধ করতে বাধ্য করে।’
তিনি যোগ করেন, ‘সবকিছু খুব ধীরে চলছে। রাশিয়ান দিক থেকে সবকিছু খুব জটিল, বিশৃঙ্খল করে ফেলা হয়েছে।
এর আগে বুধবার কিছু বাসিন্দাকে মারিউপোল থেকে সরাসরি ৪টি বাসে জাপোরিঝিয়া পর্যন্ত সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
স্যাটেলাইট মারিউপোলের কাছে গণকবর
স্যাটেলাইট চিত্রগুলি মারিউপোলের বাইরে মানহুশ শহরের একটি বিদ্যমান কবরস্থান থেকে দূরে প্রসারিত কবরের দীর্ঘ সারি দেখায়। স্থানীয় কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, বন্দর নগরী অবরোধে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড গোপন করতে সেখানে ৯ হাজার ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিককে কবর দিয়েছে রাশিয়া।
স্যাটেলাইট ছবি প্রদানকারী ম্যাক্সার টেকনোলজিস ছবিগুলি প্রকাশ করেছে, যা বলেছে ২০০ টিরও বেশি গণকবর দেখানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে, ম্যাক্সার জানায়, আগের ছবিগুলোর পর্যালোচনা ইঙ্গিত করে যে, কবরগুলো মার্চের শেষের দিকে খনন করা হয়েছিল এবং গত কয়েক সপ্তাহে প্রসারিত হয়েছিল। খবর এপির।
এদিকে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে মানহুশে ‘তাদের সামরিক অপরাধ লুকিয়ে রাখার’ অভিযোগ করেছেন মারিউপোলের মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো।