ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনা আরও চরমে পৌঁছেছে। ফলশ্রুতিতে মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন বলেছেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় অবিলম্বে মার্কিন নাগরিকদের উচিত ইউক্রেন ত্যাগ করা। অন্যথায়, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে হামলা করে বসলে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে কোনও সৈন্য পাঠাবে না আমেরিকা।”
এদিকে, কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগরে ইউক্রেনের নৌ চলাচলের পথ রাশিয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। এরপরই উত্তেজনা আরও চরমে পৌঁছায়। আগামী সপ্তাহে ওই দুই সাগরে নৌ মহড়া করতে যাচ্ছে রাশিয়ার। এর মধ্যেই নতুন এই অভিযোগ উঠল।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা অভিযোগ করে বলেছেন, আজভ সাগর পুরোপুরি অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে। কৃষ্ণসাগরও প্রায় পুরোপুরিভাবে ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নজিরবিহীনভাবে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এ নৌ মহড়া চালানো হবে। আর তখন ওই দুই সাগরে নৌ চলাচল কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনা চলার মধ্যেই সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের সঙ্গে বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইউক্রেনের সঙ্গেও দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এ সামরিক মহড়াকে ‘সহিংস ইঙ্গিত’ বলে উল্লেখ করেছে ফ্রান্স। আর ইউক্রেন বলেছে, এ মহড়া ‘মনস্তাত্ত্বিক চাপ’-এর সমতুল্য।
বেলারুশের সঙ্গে ১০ দিনের ওই সামরিক মহড়ার সংযোজন হিসেবে ইউক্রেনের দক্ষিণে অবস্থিত কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগরে আগামী সপ্তাহে নৌ মহড়া চালাবে রাশিয়া। এ মহড়ার অংশ হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য ভারী অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হবে উল্লেখ করে উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে দেশটি।
সূত্র: বিবিসি