মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত নিহত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। এছাড়াও বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছেন বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ।
সোমবার দেশটির পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, সর্বশেষ দক্ষিণ জোহর রাজ্যের একটি প্লাবিত রাস্তায় ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীর মৃতদেহ একটি প্রাইভেটকারের ভিতর থেকে উদ্ধার করেছে,যেটি বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছিল।
এর আগে বন্যার পানি থেকে উদ্ধারকারীরা একইভাবে জোহরের একটি পাম তেলের বাগানে কাজ করার জন্য গাড়ি চালানো একজন ব্যক্তির গাড়ি উদ্ধার করে তার লাশ পাওয়া যায়। এছাড়া তিন বৃদ্ধও বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
সিঙ্গাপুরের সীমান্তবর্তী রাজ্য জোহরে ৪০ লাখ মানুষ বাস করে যা মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য। স্কুল এবং কমিউনিটি সেন্টারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে সরিয়ে নেয়া মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি থেকে কমে এসেছে।
বোর্নিও দ্বীপের প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জোহরে বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং রাজ্যে বন্যা প্রশমন প্রকল্পগুলোকে গতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি এক টুইট পোস্টে বলেছেন, ‘এই বিষয়টিকে বিলম্বিত করা যাবে না এবং আরও গুরুত্ব সহকারে মোকাবিলা করা উচিত যাতে (বন্যা) আবার না ঘটে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, নভেম্বরে শুরু হওয়া বার্ষিক বর্ষা মৌসুমে দেশটি অবিরাম ভারী বৃষ্টির ষষ্ঠ পর্বের মুখোমুখি হয়েছে। এরআগে ডিসেম্বরে, বন্যার কারণে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
জোহরে পুলিশের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তা ও বাড়িঘর কর্দমাক্ত পানির নিচে অদৃশ্য হয়ে গেছে, যেখানে কেবল ছাদ দেখা যাচ্ছে।
জোহরের কিছু অংশ এবং বোর্নিওতে মালয়েশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে মঙ্গলবার আরও বৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা আরও আকস্মিক বন্যার কারণ হতে
পারে। দেশব্যাপী এক ডজনেরও বেশি নদীর পানি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলেও সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।