দিন যত পার হচ্ছে, মিয়ানমারে লাশের সংখ্যা বাড়ছে। সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৫০০ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বিক্ষোভ-আন্দোলনরত জনতার উপর নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে এ প্রাণহানি ঘটেছে।
মিয়ানমারের একটি অধিকার সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে। পরে নিজেদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্য দেওয়া প্রতিষ্ঠানটির নাম অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি)।
এএপিপি’র বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল সোমবারও বিক্ষোভে দমন-পীড়নে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজন নিহত হয়েছেন ইয়াংগুনের দাক্ষিণ দাগন এলাকায়। আন্দোলনকারীরা ওই এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে অবরোধ তৈরি করেছিল। নিরাপত্তা বাহিনী তা সরাতে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। এ বিষয়ে পুলিশ বা সেনা কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দেয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এএপিপির হিসাবে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে গত দুই মাসে কমপক্ষে ৫১০ জনের মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে গত শনিবার, সব মিলিয়ে ১৪১ জন নিহত হয়েছে সেদিন।
খবরে আরও বলা হয়েছে, গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীরা সোমবার রাতে প্রদীপ জ্বেলে নিহতদের স্মরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে জনগণ নতুন ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার নাম ‘গার্বেজ স্ট্রাইক’। নাগরিকদের ঘরের আবর্জনা রাস্তার মোড়ে ছুড়ে ফেলে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বলা হচ্ছে।
অপরদিকে এক বিবৃতিতে জনগণের সঙ্গে মিয়ানমারের সর্বজাতির আত্মরক্ষার ‘বসন্ত বিপ্লবে’ শামিল হবে বলে জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, আরাকান আর্মি এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি।