মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিপর্যস্ত পর্তুগালের জনজীবন। বর্তমানে দেশটির মুদ্রাস্ফীতির হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় আবাসন নিয়ে চরম দুর্ভোগ আছেন পর্তুগালবাসী। আর সইতে না পেরে রাজধানী লিসবনে আন্দোলনে নামেন হাজার হাজার মানুষ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে লিসবন শহরে বসবাস করা দারুণ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে লিসবনবাসীরা। শুধু গত বছরেই দেশটিতে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ, যা প্যারিস কিংবা বার্সেলোনার মতো ব্যয়বহুল শহরের চেয়েও বেশি।
দেশটিতে এক কক্ষের একটি সাধারণ বাড়ির ভাড়া প্রায় ১ হাজার ৩৫০ ইউরো। অথচ দেশটির ৫০ শতাংশেরও বেশি জনগণের মাসিক আয় ১ হাজার ইউরোর চেয়েও কম। দেশটির শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মাসিক আয় ৭৬০ ইউরো। এমন পরিস্থিতিতে শুধু ঘোষণা নয়, সরকারের সব পদক্ষেপের যথাযথ বাস্তবায়ন চান নাগরিকরা।
লিসবনে আন্দোলনরত রিতা সিলভা বলেন, ‘বর্তমানে মারাত্মক আবাসন সংকট রয়েছে। এমন অবস্থায় বিক্ষোভ জরুরি ছিল।বসবাসের জন্য বাড়ি চাই’ আন্দোলনের আয়োজক ও সর্বোপরি দেশটির তরুণ সমাজ আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামে।’
৩৫ বছর বয়সী দিয়োগো গুয়েরা বলেন, ‘এখানে কর্মজীবী মানুষরাও গৃহহীন। পর্যটকদের মতো কিছুদিনের জন্য বাসা ভাড়া নিয়েও কুলাতে পারছে না মানুষ।’
বিক্ষোভে অংশ নেয়া স্থানীয় এক নারী বলেন, ‘সরকার হয়তো বুঝতে পারছে না আজ আমরা কেন রাস্তায় নেমেছি, আর সংকট ঠিক কতটা প্রকট। এটাকে সামাজিক জরুরি অবস্থা বললেও ভুল হবে না। কর্তৃপক্ষ রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীদের লাভের কথাই ভাবছে।’
আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এটা অস্বীকার করার কি কোনো সুযোগ আছে যে আমরা কেমন পরিস্থিতির মধ্যে আছি। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকদের বাজেট অনুযায়ী লিসবনে একটি বাসা পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সবাই ট্যুরিস্টদের কাছে বাসা ভাড়া দিতেই আগ্রহী।’