ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, শুক্রবার সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ক্রেমলিন কিয়েভের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চাইছে না। তবে মস্কো তার নিরাপত্তা স্বার্থকে উপেক্ষিত হতে দেবে না।
জানা যায়, ইউক্রেন ইস্যুতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনিও ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দেখা করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ।
দিন যত গড়াচ্ছে যুদ্ধের দিকে গড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্পর্ক। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লক্ষাধিক সেনা মোতায়েনের পর থেকেই যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও রাশিয়া দাবি করে আসছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য এসব সেনা মোতায়েন করা হয়নি।
এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে বলে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমায়ার জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এমন মন্তব্য করেন বাইডেন।
এদিকে, সীমান্তে রুশ সেনার উপস্থিতি নিয়ে অহেতুক ভীতি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, শুক্রবার রাজধানী কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমাদের উদ্দেশে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সীমান্তে রুশ সেনার উপস্থিতি নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না। ইউক্রেনে যেকোনো সময় হামলা হতে পারে, এ ধরনের কথা বলায় আমাদের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে।
জেলেনস্কি আরও বললেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা বলেই যাচ্ছেন, আগামীকালই যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। এমন কথা শুধু প্যানিক ছড়ায়। এটা আমাদের কত বড় ক্ষতির কারণ তা কি তারা জানেন?
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের রাষ্ট্রদূত ও তাদের পরিবারকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও সমালোচনা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।