রাশিয়ার হামলার পঞ্চম দিনে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।
সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি রাশিয়ার সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক ক্ষুদে বার্তায় রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বেলারুশের সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছে দুই দেশের প্রতিনিধিরা। তাদের প্রতিনিধিদলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অলেক্সি রেজনিকভ, প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াকসহ অনেকেই রয়েছেন।
অন্যদিকে রাশিয়া চায় ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয়। যদিও যুদ্ধ শুরুর পর বারবার পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক জোটে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
আজ বিকেলে এ বৈঠক শুরু হয়। অবশ্য আরও আগে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লজিস্টিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বহুল কাঙ্ক্ষিত এই আলোচনা পিছিয়ে যায়।
রোববার এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এ আলোচনা থেকে কোনও অগ্রগতি আশা করেন না তিনি।
তবে একইসঙ্গে জেলেনস্কি জানান, সামান্য হলেও শান্তি ও যুদ্ধবিরতির আলোচনার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তিনি। যাতে ইউক্রেনকে যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা না করার জন্য কেউ দোষ দিতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর তিনদিক দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে রাশিয়ার সৈন্যরা।
দ্রুত গতিতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করার পরিকল্পনা ছিল রাশিয়ার। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।