প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও খার্তুমে বিমান হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১ মে ২০২৩ ১০:২৩:২৫ | আপডেট: ১ year আগে
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও খার্তুমে বিমান হামলা
ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির আধা সামরিক বাহিনীকে (র‍্যাপিড রেসপন্স ফোর্স) নির্মূল করতে শহরটিতে আক্রমণ করছে সেনাবাহিনী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশটিতে দুই পক্ষ থেকেই তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও তীব্র লড়াই চলছে। ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। খার্তুমে লাখো মানুষ বন্দী হয়ে পড়েছেন।

ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলোর বাহিনীর মধ্যে এই লড়াই শুরু হয়। যদিও হামদান বেশি পরিচিত হেমেদতি হিসেবেই।

লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় একাধিকবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হন বুরহান ও হেমেদতি। তবে এসব অস্ত্রবিরতির কোনোটিই সেভাবে কার্যকর হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির মধ্যস্থতায় চুক্তির পরবর্তী পর্যায়ে তারা কী করবে তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

গতকাল রোববার যুদ্ধ বিরতি আরও তিন দিন বর্ধিত করার আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা আরএসএফের বিরুদ্ধে খার্তুমের সিটি সেন্টারের উত্তরে অভিযান চালাচ্ছে।

সর্বশেষ তিন দিনের অস্ত্রবিরতি গতকাল রোববার মধ্যরাতে শেষ হয়। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত বৃহস্পতিবার এ অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছিল লড়াইরত দুই বাহিনী।

এদিকে তিন সপ্তাহ ধরে চলা ক্ষমতার লড়াইয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ছে সুদান। রাজধানী খার্তুম ও আশপাশের আবাসিক এলাকাগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতাল ও অন্যান্য পরিষেবা। রাজধানীতে আটকা পড়ে আছে লাখো মানুষ। ফুরিয়ে আসছে খাবার।

এই গোলযোগের মধ্যে বিশ্বের দেশগুলো সুদান থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। কমপক্ষে ৭৫ হাজার মানুষ প্রতিবেশী চাদ, মিসর, দক্ষিণ সুদান অথবা ইথিওপিয়ার মতো দেশগুলোতে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছে।