বেশ কয়েক দিন ধরেই বিশ্ব রাজনীতির প্রধান উপজীব্য হয়ে উঠেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা; সেই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের সেনা মোতায়েন ইস্যু। এর মধ্যেই পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সংবাদ সম্মেলনে বইডেন জানান, এ পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর শক্তি বৃদ্ধির জন্য অল্প সংখ্যক হলেও সেনা মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশ ও পূর্ব ইউরোপে কম করে হলেও সেনা মোতায়েন করবে আমেরিকা। যদিও আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা মার্ক মাইলি জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ হলে দুই পক্ষেরই অপূরণীয় ক্ষতি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ান সেনা মোতায়েন নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ করেছেন বিশ্ববাসীকে। এ বিষয়ে আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও জানিয়েছেন, এখনও এ বিষয়ে কূটনৈতিক আলোচনার জায়গা রয়েছে। ফলে এখনই সংঘর্ষ আবশ্যক নয়।
তিনি আরও জানান, পুতিন যদি এখনও ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নেন অর্থাৎ ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেন... তাহলেই আর সংঘাত বাঁধে না। ইতোমধ্যেই আমেরিকা ও ন্যাটোর কাছে ইউক্রেনসহ একাধিক প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আবেদন দাবি জানিয়েছে রাশিয়া, তবে আমেরিকার পক্ষ থেকে তা প্রত্যাখান করা হয়েছে।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ইউক্রেন দখল করবে রাশিয়া। যদিও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরনের সঙ্গে ফোনালাপে পুতিন জানিয়েছেন, এরকম কোনও উদ্দেশ্য রাশিয়ার নেই।
অন্যদিকে, শনিবারই সামরিক মহড়ার জন্য বেলারুশে পৌঁছেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মিত্রবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার উদ্দেশে চলবে এ মহড়া।