আক্রমণের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের ৯০ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে কিয়েভ প্রশাসন। তাদের মধ্যে রাশিয়ার ৫০ ও ইউক্রেনের ৪০ জন রয়েছেন। এ ছাড়া দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক সহযোগী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
কিয়েভ প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, তিনি ৪০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত ও কয়েক ডজন আহত হওয়ার কথা জানেন। এ ছাড়া ১০ বেসামরিক নাগরিক মারা যাওয়ার কথাও শুনেছেন তিনি।
এদিকে রাশিয়ার ৫০ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। পাশাপাশি আক্রমণকারীদের ট্যাংক ও যুদ্ধবিমানও ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী এক বিবৃতি জানিয়েছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে চারটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এ ছাড়া বিচ্ছিন্নতাবাদী লুহানস্ক অঞ্চলের একটি শহরে ৫০ রুশ সেনাকে হত্যা এবং ছয়টি সামরিক আকাশযান ধ্বংস করা হয়েছে। তবে রাশিয়া এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইউক্রেনীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন অঞ্চলে রুশ বাহিনীর হামলায় তাদের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সামরিক বাহিনী।
ইউক্রেন বলছে, তিন দিকের সীমান্ত দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। রাশিয়া, বেলারুশ ও ক্রিমিয়া সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশে করেছে রুশ সেনারা। কামান, ভারী সরঞ্জাম এবং ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে সীমান্ত ইউনিট, সীমান্ত টহল এবং চেকপয়েন্টগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।