রাশিয়ার সার রপ্তানি বাধা মুক্ত করার আলোচনা চলছে এবং এক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ প্রধান আলোচকরা। খবর এএফপি’র।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে তাদের দেশের শস্য ও সার রপ্তানি বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়ে। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে গত ২২ জুলাই ইউক্রেন ও রাশিয়া দু’টি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন পণ্য নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখার কথা বলা হয় এবং ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির জন্য নিরাপদ করিডোর মঞ্জুর করা হয়। তা সত্ত্বেও রাশিয়ার সার রপ্তানির বাধা অব্যাহত রয়েছে বলে তারা অভিযোগ করে আসছে।
তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় এই চুক্তির দ্বিতীয়টি বেশ ভালভাবে কাজ করছে। এ চুক্তির আওতায় লাখ লাখ টন শস্য ইউক্রেন বন্দর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা সঙ্কট গভীরতর হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা কমেছে। তবে ক্রিমিয়াতে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনার পর মস্কো এ চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়ায় তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চুক্তি আগামী ১৯ নভেম্বর নবায়ন করার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন জানায়, এই চুক্তিতে তারা থাকবে কি-না রাশিয়া সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে জাতিসংঘের বাণিজ্য বিষয়ক আলোচক রেবেকা গ্রিনস্প্যান জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আশা করেন যে, পক্ষগুলো এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে এবং কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির উদ্যোগের মেয়াদ বাড়াবে। রাশিয়ার সার রপ্তানি বাধা মুক্ত করার আলোচনার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটেডের (ইউএনসিটিএডি) এ প্রধান বলেন, ‘আমরা সেই পথ সুগম করতে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছি এবং এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি রয়েছে।’
তিনি স্বীকার করেন যে, রাশিয়ার সার রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বিশ্বের বৃহত্তম কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী দেশ সমস্যার মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এসব সমস্যা সমাধানে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সাথে খোলামেলা আলোচনা করে যাচ্ছি।