প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

শিশুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান গাজা: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:০৭:২৩ | আপডেট: ৪ মাস আগে
শিশুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান গাজা: জাতিসংঘ

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা শিশুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান বলে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেছেন, ‘গাজা ভূখণ্ড হচ্ছে শিশুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায় জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল। ২২ নভেম্বর মধ্যস্থতাকারী কাতার জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়েছে। দুই দফায় বাড়া সেই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

ইউনিসেফ জানায়, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এ অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণ করে হাজার হাজার শিশুকে হতাহত করছে। রোগীর চাপে পিষ্ট হাসপাতালগুলোর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আরও হাজার হাজার শিশু সংক্রামক রোগে ভুগছে এবং খাবার,পানি ও ওষুধের অভাবে দুর্দশায় আছে।

জেমস এলডার বলেন,‘আমি এ বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। যারা ক্ষমতায় আছেন,তারা লাখ লাখ শিশুর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দুঃস্বপ্নের সঙ্গে তুলনীয় মানবিক সংকটকে উপেক্ষা করছেন।’

সম্প্রতি গাজায় ২ সপ্তাহের সফর শেষে ফিরে এসে এলডার জানান, ‘আমি ক্ষুব্ধ কারণ ইতোমধ্যে এক বা একাধিক অঙ্গ হারিয়েছে, এমন শিশুরাও চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাসের হাসপাতালে বোমা হামলায় নিহত হচ্ছে। আমি ক্ষুব্ধ,কারণ কোথাও না কোথাও লুকিয়ে থাকার প্রচেষ্টায় আরও অনেক শিশু প্রতিদিন তাদের অঙ্গ হারাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ,কারণ অসংখ্য শিশু এমন কী তাদের নিহত মা, বাবা ও পরিবারের সদস্যদের জন্য শোক প্রকাশ করার সুযোগও পাচ্ছে না।’

এলডার বলছেন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে অবস্থিত আল নাসের হাসপাতাল গত ৪৮ ঘণ্টায় দুই বার কামান হামলার শিকার হয়। তিনি উল্লেখ করেন, হাসপাতালগুলোতে অসংখ্য গুরুতর আহত শিশু ও নিরাপদ আশ্রয় প্রত্যাশী হাজার হাজার নারী-শিশু অবস্থান করছে। তিনি বলেন, ‘তাহলে শিশুরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কোথায় যাবে? তারা হাসপাতালে নিরাপদ নয়। তারা আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ নয়। এবং অবশ্যই, তারা তথাকথিত নিরাপদ জোনেও নিরাপদ নয়।’