প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করলো মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:২৪:০০ | আপডেট: ২ মাস আগে
সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করলো মিয়ানমার

মিয়ানমারে প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির জান্তা সরকার। শনিবার সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণায় বলা হয়, এখন থেকে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকল পুরুষকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে অন্তত দুই বছর কাজ করতে হবে। নারীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে, তাদেরকেও একই মেয়াদে সামরিক বাহিনীতে চাকরি করতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

সশস্ত্র বিদ্রোহীদের তুমুল প্রতিরোধের মুখে পিছু হটছে মিয়ানমাররে জান্তা বাহিনী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তিন বছরের ক্ষমতায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পার করছে তারা। গত অক্টোবরে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদ্রোহীদের হাতে। সবশেষ ঘুমধুম সীমান্তে বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে মিয়ানমারের শতাধিক সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে, যাদের অনেকেই আহত।

বাধ্যতামূলক যোগদান নিয়ে জান্তা সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ‘প্রয়োজনীয় উপবিধি, প্রক্রিয়া, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি এবং নির্দেশাবলী প্রকাশ করবে।’

এর আগে দেশের সামরিক বাহিনীতে নাগরিকদের বাধ্যতামূলক যোগদানের বিধান রেখে ২০১০ সালে মিয়ানমারে একটি আইন চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এতদিন সেটি কার্যকর করা হয়নি। আইনটিতে দুই বছরের জন্য নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে চাকরি করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে আইনে এটাও বলা হয়েছে যে, জরুরি অবস্থায় সামরিক বাহিনীতে চাকরির এই মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।

নাগরিকদের কেউ এই আইন না মেনে চাইলে একই মেয়াদে জেল হতে পারে।

স্বাধীনতার পর থেকে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে সামরিক বাহিনীর সংঘাত চলমান থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে সেই সংকট সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশটির জান্তা বা সামরিক শাসকরা। অক্টোবরে হামলা শুরু হবার পর থেকে হাজার হাজার সৈন্য তাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দখলে থাকা অনেক শহর ও এলাকা বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।