প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

সিগন্যালে ত্রুটির কারনেই দুর্ঘটনা: রেল কতৃপক্ষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪ জুন ২০২৩ ১০:০৩:৫১ | আপডেট: ১০ মাস আগে
সিগন্যালে ত্রুটির কারনেই দুর্ঘটনা: রেল কতৃপক্ষ
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উড়িষ্যার বালেশ্বরে শুক্রবারের করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছুঁই-ছুঁই। সেই সংখ্যা ৩০০ পেরিয়েও যেতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞেরা। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রেল সূত্রে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২৮৮, আহত ৮ শতাধিক। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে অনেক দেহ। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। তবে সরকারি ভাবে ‘উদ্ধারকাজ’ শেষ বলে ঘোষণা করেছে রেল কতৃপক্ষ। শুরু হয়েছে পরিষেবা স্বাভাবিক করার উদ্যোগ। তবে তা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পরে ভারতীয় রেল কতৃপক্ষের প্রাথমিক প্রতিবেদনে করমণ্ডল দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সিগন্যালে ত্রুটির দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। তবে বিস্তারিত তদন্তে দুর্ঘটনার কারণ আরও স্পষ্ট হবে বলে রেলের কর্মকর্তাদের একাংশের বক্তব্য।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর এক যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আপ মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘এর মধ্যে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেরও দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।’ কিন্তু মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কী ভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় কোনও ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে অনেকে বলছেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অতি সক্রিয়তা’র মাশুল দিতে হচ্ছে আপাতদৃষ্টিতে ‘সাধারণ’ ট্রেনগুলোকে। বন্দে ভারত তৈরি এবং চালাতে যে ব্যয় হচ্ছে, তার ‘প্রভাব’ পড়ছে রেলের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণে। তবে এ নিয়ে এখনই কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না। সকলেই বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে তা কবে পাওয়া যাবে, তা নিয়ে কেউই নিশ্চিত নন।