গত ১৫ এপ্রিল থেকে ক্ষমতা ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব নিয়ে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিকবাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সংঘর্ষে উত্তাল সুদান। এরমধ্যেই দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, শুক্রবার রাজধানী খার্তুমের বাইরে ওয়াদি সেয়িদনা বিমানবন্দরে তুরস্কের এক উদ্ধারকারী বিমানে গুলি চালিয়েছে আরএসএফ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সুদানে তাদের উদ্ধারকারী বিমানে হামলার কথা নিশ্চিত করেছে। তবে কোন পক্ষ এ হামলা চালিয়েছে-সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেনি তুরস্ক। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সি-১৩০ মডেলের বিমান নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং ক্ষতি মেরামত করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে তুরস্কের মন্ত্রণালয় বলছে, সি-১৩০ উদ্ধারকারী বিমানে হালকা অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে...কিন্তু আমাদের বিমান নিরাপদে অবতরণ করেছে। যদিও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বিমানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ চলছে।
তবে আরএসএফ তুরস্কের বিমানে হামলা কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে সেনাবাহিনী মিথ্যাচার করছে।
গত ১৫ এপ্রিল দুই বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। সংঘর্ষের মধ্যে অনেক দেশই সুদান থেকে তাদের নাগরিকদের উদ্ধারের অভিযান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বহু দেশ তাদের কূটনৈতিকদের তাদের দেশে সরিয়ে নিয়েছে। হাজার হাজার সুদানি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবেশী দেশ শাদ ও মিশরে পালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৪১৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন হাজার ৫৫১ জন। জাতিসংঘের শিশু সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটিতে চলমান সংঘাতে সবচেয়ে শিশুরা ক্ষতির সম্মুখীন। এখন পর্যন্ত নয়জন শিশু নিহত হয়েছে, গুরুতর আহত হয়েছে ৫০ জনের বেশি।