শাসনক্ষমতা হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির শক্তিশালী আধাসামরিক বাহিনী- র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) মধ্যে তীব্র লড়াইয়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানী খার্তুম। এতে এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৯৫ জন।
সিএনএন, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ানসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন সামরিক শাসক গোষ্ঠীর দুই অংশ সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। গতকাল শনিবার হঠাৎ করেই তা প্রবল সংঘাতে রূপ নিয়েছে। চলমান এই লড়াইয়ের কারণে দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সুদানিজ ডক্টরস ইউনিয়ন জানিয়েছে, শনিবার সামরিক বাহিনী ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) এর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৫৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং যোদ্ধাসহ ৫৯৫ জন আহত হয়েছে।
এদিকে আরএসএফ দাবি করেছে, তারা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখলে নিয়েছে। সেইসঙ্গে খার্তুমে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তাদের দখলে।
তবে সুদানের সরকারি বাহিনী এক বিবৃতিতে বলছে, তারা খার্তুম শহরের কৌশলগত জায়গাগুলো দখল করার জন্য শত্রুপক্ষের চেষ্টার মোকাবিলা করছে। সেনাবাহিনী বলছে, তাদের বিমান হামলায় কমপক্ষে দুটি আরএসএফ ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাবিল আবদুল্লাহর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, খার্তুম এবং সুদানজুড়ে বিভিন্ন সেনা ক্যাম্পে আরএসএফ-এর যোদ্ধারা হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, সংঘর্ষ চলছে এবং সেনাবাহিনী দেশ রক্ষার কাজে তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় শহর মেরোউইতেও গোলাগুলি চলছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে এক ক্যু এর পর থেকে দেশটির জেনারেলরা দেশ শাসন করছেন।