ভারতের মধ্যপ্রদেশের খারগোনে একটি যাত্রীবাহী বাস সেতু থেকে নদীতে পড়ে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু ও ছয়জন নারীও রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
মঙ্গলবার সকালে খারগোন জেলার ওন পুলিশ স্টেশন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসটিতে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। এখনও অনেক যাত্রী বাসটিতে আটকা পড়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন স্থানীয়রাও। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
খারগোনের সাব-ডিভিশনাল অফিসার রাকেশ মোহান শুকলা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ইন্দোরের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু দংগারগাওয়ের কাছে এক নদীর ব্রিজ থেকে বাসটি পড়ে যায়। নদীতে কোনো পানি ছিল না বলে জানান রাকেশ।
রাকেশ বলেন, সকাল ৯ টা ১৫ মিনিট নাগাদ এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত যাত্রীদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় বাসের চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নারোত্তম মিশ্র বলেন, বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিল। খারগোনের দাসাংগা গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন।
মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং নিহতদের প্রতি পরিবারকে ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের ৫০ হাজার রুপি, হালকা আহতদের ২৫ হাজার রুপি দেওয়া কথা বলেছেন।
অন্যদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিহতদের প্রতি পরিবারকে ২ লাখ রুপে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।