ইরানে বাধ্যতামূলক হিজাব ও নৈতিকতা বিষয়ক পুলিশের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে ৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন পুলিশ ও নারী রয়েছেন।
মঙ্গলবার বিক্ষোভের পঞ্চম দিনে সারি শহরে নারীদের আগুন দিয়ে তাদের হিজাব জ্বালিয়ে দিতে দেখা যায়। তখন সেখানে উপস্থিত জনতা উল্লাস করেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, উরমিয়া, পিরানশাহর এবং কেরমানশাহে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত তিন বিক্ষোভকারীর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইরানের অন্তত ১৫টি শহরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বিক্ষোভকারীদের পুলিশকে ধাওয়া, গুলির শব্দ এবং মেয়েদের হিজাবে আগুন লাগানো - ইত্যাদি দৃশ্য দেখা গেছে।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কেরমানশাহে দু'জন বেসামরিক নাগরিকের পাশাপাশি শিরাজে একজন পুলিশ সহকারীকে হত্যার অভিযোগ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত শুক্রবার দেশটির একটি হাসপাতালে কোমায় তিন দিন কাটানোর পর মারা যান ২২-বছর বয়সী কুর্দি নারী মাশা আমিনি। পোশাক পরার আইন ভঙ্গ করায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের কঠোর নৈতিকতা বিষয়ক পুলিশ।
এরপরই পুলিশের ওপর বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন ইরানিরা।
ইরানের একজন সিনিয়র এমপি জালাল রশিদি কুচি প্রকাশ্যে নৈতিকতা পুলিশের সমালোচনা করে বলেছেন, এ বাহিনী তৈরি একটি 'ভুল' কাজ, কারণ এটি ইরানের জন্য শুধু ক্ষতিই বয়ে এনেছে।