২০২২ সালের মধ্যে করোনা মহামারি অবসানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
শুক্রবার ২০২১ সালের শেষ দিনে লিঙ্কডইনে নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের শুরুতে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ডব্লিউএইচওর প্রধান। এতে তিনি টিকা নিয়ে জাতীয়তাবাদী আচরণ ও টিকার মজুতের বিষয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেন, দুই বছরে আমরা এখন এই ভাইরাসকে ভালভাবে জেনেছি। মাস্ক ব্যবহার, ভিড় এড়ানো, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বায়ুপ্রবাহ ঠিক রাখা, করোনা পরীক্ষা করা এবং সংক্রমণের উৎস খোঁজার মাধ্যমে আমরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছি।
ডব্লিউইচও প্রধান বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে করোনায় গুরুতর অসুস্থ ও আক্রান্তদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়েছে। এসব শিক্ষা এবং সামর্থ্য দিয়ে মহামারির অবসান ঘটানোর সুযোগ আমাদের হাতে আছে।
তবে একই সঙ্গে সতর্কবার্তাও দিয়ে তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, টিকার ক্ষেত্রে যে অসমতা রয়েছে তা বজায় থাকলে ভাইরাসের নতুন ধরন আসার ঝুঁকি বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি এই অসমতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি তবে করোনা মহামারি বিদায় নেবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, দুই বছরে করোনার মোকাবিলার সরঞ্জামগুলো অসমভাবে বিতরণ করা হয়েছে। যেখানে আফ্রিকায় প্রতি চারজন স্বাস্থ্যকর্মীর তিনজনই ভ্যাকসিন পাননি। সেখানে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে সরকারগুলোর সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কাজ করবে বলেও জানান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
উল্লেখ্য, চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রায় দুই বছর আগে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। অর্থাৎ শনাক্ত হওয়ার দুই বছর পর করোনার বিদায় নিয়ে কথা বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।