প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত

টিবিপি ডেস্ক
১২ জুলাই ২০২২ ১৬:০০:২৬ | আপডেট: ২ years আগে
২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত

জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, আগামি বছর চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হবে ভারত।

ভারত এবং চীন, দুটি দেশেরই জনসংখ্যা এখন একশো কোটির ওপরে। তবে সামনের বছর থেকে দুই দেশের জনসংখ্যার গতিপ্রকৃতি দুই দিকে যাবে। চীনের জনসংখ্যা কমতে থাকবে, কারণ সেখানে জন্ম হার কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে ভারতের জনসংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

জাতিসংঘ বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৬০ কোটিতে পৌঁছাবে। অন্যদিকে ততদিনে চীনের জনসংখ্যা হবে ১৩০ কোটি।

জাতিসংঘের ইকোনোমিক এন্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের এই পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে আটশো কোটি। এরপর ২০৮০ সালে এটি এক হাজার ৪০ কোটি স্পর্শ করবে, তারপর ২১০০ সাল পর্যন্ত সেই পর্যায়েই থাকবে।

জাতিসংঘ আরও বলছে, এ বছরের নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রথমবারের মতো ৮০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস বলেন, "বিশ্ব জনসংখ্যার এই মাইলফলক আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, এই গ্রহকে রক্ষায় আমাদের সবারই দায়িত্ব রয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "এটি আমাদের বৈচিত্র্যকে উদযাপনেরও একটি মূহুর্ত। এটি আমাদের অভিন্ন মানবিকতা এবং স্বাস্থ্য খাতে আমাদের নানা অর্জনেরও এক স্বীকৃতি।"

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে জাতিসংঘ এই নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের জনসংখ্যা এখনো বেড়েই চলেছে, তবে অতীতে যেরকম দ্রুত হারে বাড়ছিল সেরকম গতিতে নয়।

দীর্ঘদিন ধরে চীনে এক সন্তান নীতি অব্যাহত ছিল, যার ফলে দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির রাশ টেনে ধরা সম্ভব হয়েছিল।

১৯৫০ সালের পর বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন সবচেয়ে ধীর। জাতিসংঘের হিসেবে ২০৮০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াবে এক হাজার ৪০ কোটি। তবে কোন কোন জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞের মতে, এর অনেক আগেই বিশ্বের জনসংখ্যা এক হাজার কোটি ছাড়াতে পারে।

তবে জনসংখ্যা বিশ্বের সব অঞ্চলে সমান হারে বাড়বে না। আগামী ৩০ বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা যত বাড়বে, তার অর্ধেকই ঘটবে মাত্র আটটি দেশে। এই আটটি দেশ হচ্ছে কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স এবং তাঞ্জানিয়া।

অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত কিছু দেশে জনসংখ্যা এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে।

বিশ্ব জুড়েই এখন নারী প্রতি সন্তান জন্মদানের হার কমছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে বেশিরভাগ শিশুই এখন প্রবীণ বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকছে।