প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

‘২৩ কোটি মানুষের সহায়তায় প্রয়োজন ৫১.৫ বিলিয়ন ডলার’

বিশ্বের ১০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত
এএফপি
০১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৪৮:৩৬ | আপডেট: ১ year আগে
‘২৩ কোটি মানুষের সহায়তায় প্রয়োজন ৫১.৫ বিলিয়ন ডলার’

২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৭০টি দেশের প্রায় ২৩ কোটি মানুষকে সহায়তা করার জন্য রেকর্ড ৫১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। যা ২০২২ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। এটিকে ‘আশঙ্কাজনকভাবে উচ্চ’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘ এবং অংশীদার সংস্থাগুলো।

জাতিসংঘের শীর্ষ জরুরি ত্রাণ কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, প্রয়োজনগুলো ‘আশঙ্কাজনকভাবে বেশি’। তিনি সতর্ক করে জানিয়েছেন, খুব সম্ভবত এই বছরের জরুরী পরিস্থিতি ২০২৩ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজন বাড়ার কারণ; আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধে, কোভিড এবং জলবায়ু দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালে এই সমস্ত প্রবণতার কারণ হতে চলেছে। ফলে আমরা আশা করি ২০২৩ সাল সংহতির বছর হবে, ঠিক যেমন ২০২২ দুঃখের বছর ছিল।’

জেনেভায় গ্লোবাল হিউম্যানিটারিয়ান ওভারভিউ রিপোর্ট ২০২৩ প্রকাশ করার সময় গ্রিফিথস এই আবেদনটিকে প্রান্তে থাকা মানুষের জন্য একটি ‘লাইফলাইন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে আফ্রিকার হর্ন পর্যন্ত অসংখ্য দেশ প্রাণঘাতী খরা এবং বন্যার শিকার হয়েছে। উপরন্তু, ইউক্রেনের যুদ্ধ ইউরোপের একটি অংশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছিল। বিশ্বব্যাপী এখন ১০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। এই সবই বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্রদের মধ্যে মহামারীর প্রভাবে ধ্বংসযজ্ঞের শীর্ষে। ফলে বিশ্বের ৫৩টি দেশের প্রায় ২২২ মিলিয়ন মানুষ এই বছরের শেষ নাগাদ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হবে।’

দুর্ভিক্ষ হুমকির দিকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পাঁচটি দেশ ইতোমধ্যেই দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। যেখানে আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে ‘অসুখী’ বলতে পারি। ফলে দেশগুলোতে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং শিশুদের হতে পারে- বাস্তুচ্যুতি, খাদ্য, নিরাপত্তাহীনতা, খাদ্যের অভাব, অনাহার।’

ইউক্রেনের বিষয়ে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘১৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ সহায়তা পেয়েছে এবং পরের বছর দেশ ও বিস্তৃত অঞ্চলের জন্য মোট ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন চাওয়া হয়েছে।’

জলবায়ু জরুরী অবস্থার সামনের সারিতে থাকা সম্প্রদায় গুলোকে সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ প্রধান বলেছিলেন, ‘মানবতাবাদীদের আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনায় একটি বড় ভূমিকা পালন করা উচিত যাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা তহবিল সুরক্ষিত করতে।’

তিনি বলেন, আমি মনে করি, ২০২৩ সালে মানবতাবাদী সম্প্রদায়কে অনেক বেশি সংগঠিত হতে হবে এবং প্রকৃতপক্ষে জলবায়ু প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কীভাবে আরও স্বচ্ছ হতে হবে, অর্থ বিতরণ করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আরও দ্রুত হতে হবে এবং যাদের জন্য এটির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সেই অর্থ পেতে হবে।’