ইউক্রেনের বড় ধরনের একটি আক্রমণ নস্যাৎ করে দেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ২৫০ জন ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যার দাবিও করেছে দেশটি। সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ দাবি করা হয়েছে। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতার ভিত্তিক আলজাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইউক্রেন রোববার দোনেৎস্ক অঞ্চলে ছয়টি যান্ত্রিক এবং দুটি ট্যাঙ্ক ব্যাটালিয়ন ব্যবহার করে আক্রমণ শুরু করেছিল।
বিবিসি বলছে, রাশিয়ার দখলে থাকা ভূখণ্ড দখলে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ধরনের কোনো অভিযানের আগে রোববার কিয়েভ সবাইকে নীরবতার অর্থাৎ চুপ থাকার আহ্বান জানিয়েছিল।
তবে এটি এখনো স্পষ্ট নয় যে, রাশিয়ান বাহিনীর কাছ থেকে কথিত যে হামলাগুলোর কথা শোনা যাচ্ছে সেটিই আসলে ইউক্রেনের ভূমি পুনরুদ্ধারের আক্রমণের শুরু কি না।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে বলেছে, ‘৪ জুন সকালে শত্রুরা দক্ষিণাঞ্চলীয় দোনেৎস্কের সম্মুখ সমরের পাঁচটি সেক্টরে বড় আকারের আক্রমণ শুরু করে। এই হামলায় ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ান প্রতিরক্ষা ভেদ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শত্রুরা তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, তারা কোনো দিক থেকেই সফল হয়নি।’
পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আকাশ থেকে সামরিক গাড়িতে হামলা হচ্ছে। মস্কো দাবি করেছে, ইউক্রেন ২৫০ সৈন্যের পাশাপাশি ১৬টি ট্যাঙ্ক হারিয়েছে।
ইউক্রেন অবশ্য গত কয়েক মাস ধরে পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করে আসছে। তবে সেই আক্রমণ শুরুর আগে সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণের জন্য যতটা সম্ভব বেশি সময় নিতে চেয়েছে ইউক্রেন।
রোববার টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘(হামলার) পরিকল্পনাগুলো নিয়ে নীরব থাকাই ভালো। হামলা শুরুর বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হবে না।’
এর আগে রুশ সেনাদের হটিয়ে পুনরায় নিজেদের অঞ্চলগুলো দখলে পাল্টা আক্রমণ চালাতে ইউক্রেন প্রস্তুত বলে দাবি করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেছিলেন।