আজ থেকে প্রায় চার দশক আগের কথা। মাত্র ১৭ বছর বয়সী এক তরুণ দোর থেকে দোরে সেলসম্যানের কাজ করতেন। জীবনের প্রথম অর্থ উপার্জনের গল্পটা শুরু হয়েছিল এই ভাবেই। মাত্র ৫০ টাকা দৈনিক মজুরিতে সেলসম্যানের কাজ নিয়েছিলেন ওই তরুণ। ১৯৮৪ সাল নাগাদ ওটাই ছিল তার একমাত্র আয়ের উৎস। সেই সময় দোর থেকে দোরে ঘুরে ওয়াটার পিউরিফায়ার বিক্রি করতেন। আজ ওই ব্যক্তিই ১২২৪ কোটি টাকা মূল্যের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে ৮৫০০ জন কর্মচারী রয়েছেন।
৫৫ বছর বয়সী বেঙ্গালুরু বেসড অরুণ উইংস গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং এমডি অরুণ স্যামুয়েলের গল্প হার মানাবে সিনেমাকেও। তাঁর কোম্পানি বর্তমানে দেশের শীর্ষ মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং এবং প্রমোশনাল সলিউশন কোম্পনির অন্যতম।
উইকএন্ড লিডারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অরুণ জানিয়েছেন, ‘‘বর্তমানে সারা ভারত জুড়ে আমাদের ৩৪৪ জন ক্লায়েন্ট রয়েছে। আমরা ভারতের ৬৭% আইটি কোম্পানির জন্য কাজ করি৷’’ তার কোম্পানি উইংস ব্র্যান্ড অ্যাক্টিভেশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে পরিচিত। আজ থেকে ২৪ বছর আগে তাঁকে ছাড়া ৩ জন কর্মী নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছিল। আজ এই কোম্পানির অধীনে ভারতের প্রতিটি রাজ্যে এবং অন্যান্য আটটি দেশে তাঁদের অফিস রয়েছে।
আরও পড়ুন : ব্যস্ত সূচি থেকে ক্ষণিকের ছুটি, স্বামীর সঙ্গে গোয়ায় ঢেউয়ের সঙ্গে একাত্ম নববিবাহিত আইএএস আধিকারিক টিনা
উইংস ব্র্যান্ড অ্যাক্টিভেশন প্রাইভেট লিমিটেড সেলস পার্সোনেল সহ টেলিকলার, ম্যানপাওয়ার রিক্রুটমেন্ট, এমপ্লয়িদের ট্রেনিং দেওয়া দেওয়া থেকে শুরু করে পে রোল ম্যানেজমেন্টের কাজও করে।
কোম্পানির নাম উইংস কেন জানতে চাইলে অরুণ জানিয়েছেন, “আমি একদিন হঠাৎ স্বপ্নে দেখলাম যে আমি একটা পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছি এবং সেই সময় একটা আওয়াজ শুনতে পাই, ঝাঁপ দাও- তুমি পড়বে না, ঠিক উড়তে পারবে। এর পরই দেখলাম আমার সামনে একটা বড় ঈগল নির্বিঘ্নে উড়ছে। পরের দিন সকালেই আমি আমার নিজের ব্যবসা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কোম্পানির নামও রাখলাম WINGS এবং সেই মতো কোম্পানির লোগো হিসাবে বেছে নিলাম ঈগলকে, এর পরই তিনি উইংস ব্র্যান্ড অ্যাক্টিভেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড শুরু করেন, সময়টা ১৯৯৪ সাল।
তবে তাঁর মতো নতুন উদ্যোক্তার পক্ষে কোনও কাজই সহজ ছিল না। আমি বড় স্বপ্ন দেখতে ও কঠোর পরিশ্রম করতে জানি, আলতো হেসে উত্তর দেন অরুণ।
সূত্র: নিউজ১৮বাংলা