প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

ভোজ্য তেলের চাহিদা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে

রোকন মাহমুদ
১৪ জুন ২০২২ ১৬:২১:৪৭ | আপডেট: ৩ years আগে
ভোজ্য তেলের চাহিদা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে

দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় খুচরা ও পাইকারি বাজারে ভোজ্য তেলের চাহিদা প্রায় ২০-৫০ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে বোতলজাত তেলের চাহিদা বেশি কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

এদিকে ফলের মৌসুমে বেকারি ও তেলজাতীয় পণ্যের বিক্রি কমে আসায়ও তেলের চাহিদা কমার অন্যতম কারণ হতে পারে বলে কিছু ব্যবসায়ী মনে করছেন।

টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, ‘প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন ফলের মৌসুমে বাজারে তেলের চাহিদা কমে যায়। তবে এ বছর তা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। যা প্রায় ১০-৫০ শতাংশ। এর একটি বড় কারণ দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি। এ কারণে আমাদের বিক্রি কমেছে।’

গত ৫ মে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৩৮ টাকা বাড়ানোর পর গত ৯ জুন আবারও লিটারে ৭ টাকা দাম বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ ৩৫ দিনের ব্যবধানে তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৪৫ টাকা।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত বছরের এ সময়ের তুলনায় এ বছর খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম প্রায় ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

আরও পড়ুন- চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই: ভোক্তার ডিজি

বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সমিতির ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী ভুট্টো দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, ‘তেলের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বাজারে উল্লেখযোগ্য হারে চাহিদা কমেছে। আমরা এখনও সঠিকভাবে গণনা করতে পারিনি। তবে যে চাহিদা কমেছে, তা ২০ শতাংশের বেশি হবে। এর প্রথম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে মূল্যবৃ্দ্ধি।’

শান্তিনগর এলাকার একটি ব্র্যান্ডের ভোজ্যতেলের ডিলার জিয়াউদ্দিন দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, ‘বাজারে বোতলজাত তেলের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমেছে। আগে দৈনিক ৫০০ কার্টন তেল বিক্রি হতো। কিন্তু এখন ২০০-২৫০ কার্টন করতে পারছি। তেলের চাহিদা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে।’