টানা ৩৬ ঘণ্টা পেরোলেও নেভানো সম্ভব হয়নি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন। এরই মধ্যে ঝরে গেছে ফায়ার সার্ভিসের নয় সদস্যসহ ৪৯ তাজা প্রাণ। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই ডিপোর একাধিক কনটেইনারে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ধোঁয়া উড়ছে আকাশে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। ১২টি বিশেষ গাড়ির সাহায্যে জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন পানি ছিটানোর কাজ চলছে। কোনো গাড়ির পানি শেষ হলে সেখানে নতুন গাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন-সীতাকুণ্ডের ঘটনায় সংসদে দুঃখ প্রকাশ
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন জানান, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ৫/৬টি কনটেইনারে এখনো আগুন জ্বলছে। কোন কোন কনটেইনার থেকে এখনো ধোঁয়া উঠছে।
তবে আজ দুপুরের আগেই ডিপোর আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনা নিয়ে যা বললেন বিএম কনটেইনারের মালিক
তবে সেখানে রাসায়নিক আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই সদস্য।
এর আগে শনিবার রাতে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার জানান, ডিপো এলাকায় পানির স্বল্পতা রয়েছে। কনটেইনারের কাছাকাছি গিয়েও আগুন নেভানোও যাচ্ছে না। একের পর এক বোমার মতো কনটেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে। দূর থেকে পাইপ দিয়ে পানি দেয়া হচ্ছে।