বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় দেশের জনসংখ্যার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এবারের জনশুমারি সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে করা হয়েছে। তবু, আমাদের ভুল থাকতেই পারে। আপনারা সেটি দেখিয়ে দিন। আমরা সংশোধন করবো বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এবারের ডিজিটাল জনশুমারিতে ৪ লাখ অত্যাধুনিক ট্যাব ব্যবহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কমপক্ষে এইচএসসি পাস- এমন কর্মীদের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সেখান থেকে মাত্র ৬৪টি ট্যাব নষ্ট হয়েছে বা ফেরত আসে নি। এটি একটি ম্যাজিক ফিগার।’
তিনি বলেন, আমার অফিসারদের আমি বলেছি, ১ মাসের মধ্যেই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। তারা ঘাবড়ে গিয়েছিলো। আমি বলেছি ‘লেট আস ট্রাই’।
এদিকে বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় দেশের জনসংখ্যার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
আরও পড়ুন: দেশে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯
এর আগে, গত ১৫ জুন সারা দেশে একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।
জনশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।