প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ আগস্ট ২০২২ ১৮:১৮:২৬ | আপডেট: ৩ years আগে
সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

১৫ আগস্টের ঘাতকরা এখনো তৎপর। জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনির্বাচিত বোর্ড সদস্যদের সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

কে কী করছে সে সম্পর্কে সব তথ্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমি তাদের (ষড়যন্ত্রকারীদের) সবাইকে চিনি।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের মিশনে বেরিয়েছিল। এখন যেহেতু আগামী নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাই তারা অনেক তৎপর। সরকারকে উৎখাত করে ষড়যন্ত্রকারীরা কীভাবে লাভ করবে! তবে একটি জিনিস নিশ্চিত জনগণ ভুক্তভোগী হবে।

আরও পড়ুন- মূল্যস্ফীতি কমে ৭.৪৮ শতাংশ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার কথা স্মরণ করেন তিনি।

আবেগ জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, খুনিরা এমনকি রাসেলকে (তার ১০ বছর বয়সী ভাই) পর্যন্ত রেহাই দেয়নি।

এ সময় তিনি করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্যাংশন ও পাল্টা স্যাংশনকে কেন্দ্র করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃচ্ছতা সাধনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমি জানি না কারা লাভবান হচ্ছে এই যুদ্ধে। মরছে সাধারণ মানুষ, ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে সাধারণের আজকে কি মানবেতর জীবন। সেটাই সবথেকে দুঃখজনক।

আরও পড়ুন-  ‘বাংলাদেশের চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-জার্মানিতে’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে কার কি লাভ হবে জানি না, তবে বাংলাদেশের মানুষেরতো ক্ষতিই হবে। কারণ, আমরাতো এক একটা জিনিষ টার্গেট করে কাজ করছি। যেমন বলেছি একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতা যে পদক্ষেপ শুরু করেছিলেন নোয়াখালি থেকে। আমি সেই দায়িত্বটা পালন করে যাচ্ছি। এখন আরো ৫৬ হাজার ঘর আরো তৈরী হচ্ছে (বিনামূল্যে বিতরণের জন্য)। তাহলে এখানে আর কোন ভুমিহীন থাকবে না।

এ সময় তাঁর সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁঁছে দিলেও বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, কেবল আমরাই নয় এখন ইউরোপের দেশগুলো থেকে শুরু করে আমেরিকা পর্যন্ত জ্বালানি সাশ্রয় করছে। কাজেই আমরা আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছি ভবিষ্যতে যেন বিপদে না পড়তে হয়। তাছাড়া, ১ কোটি মানুষকে আমরা স্বল্পমূল্যে খাবার দিচ্ছি অর্থাৎ কোন মানুষ যাতে কষ্টে না থাকে সেটাই আমাদের চেষ্টা।