সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
ফখরুল বলেন, “সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় অত্যন্ত আতঙ্কিত হচ্ছি এই ভেবে, বলা হচ্ছে আমাদের দেশ আধুনিক হয়ে যাচ্ছে। সিঙ্গাপুর হয়ে যাচ্ছে। তারপরও ন্যূনতম নিরাপত্তাব্যবস্থা না রেখেই শুধু উন্নয়নের নামে সম্প্রসারণ করা আর সেই সঙ্গে অর্থ কামানো বা চুরি করার ঘোরতর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অবিলম্বে দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, “এ ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের চিকিৎসা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারেই ভঙ্গুর। আমাদের মন্ত্রী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তাঁরা শুধু মুখেই কথা বলেন। তাঁদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে উন্নয়ন উন্নয়ন আর উন্নয়ন চলছে। কিন্তু সীতাকুণ্ডে যে দুর্ঘটনা ঘটল, এতগুলো মানুষ আহত হলো, প্রাণ চলে গেল, এটার জন্য দায়ী সরকারের অব্যবস্থাপনা, সরকারের নির্লিপ্ততা এবং উপযুক্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা তৈরি না করা।”
আরও পড়ুন- বিশ্বমিডিয়ায় সীতাকুণ্ডের আগুন
“পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে দাওয়াত দেওয়া হবে”—ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের কোনো কথাই আমরা মূল্য দিই না। তাদের কোনো গুরুত্বই দিই না। কারণ, তারা প্রতারক। কথা বলে একটা, কাজ করে আরেকটা।”
আরও পড়ুন- লাইভ করা সেই ওলিউরের লাশ মিললো হাসপাতালে