প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

বিশ্বমিডিয়ায় সীতাকুণ্ডের আগুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৫ জুন ২০২২ ১৬:১২:৩৮ | আপডেট: ৩ years আগে
বিশ্বমিডিয়ায় সীতাকুণ্ডের আগুন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনাটি বিবিসি, এপি, আল জাজিরা ও এনডিটিভিসহ বিশ্বমিডিয়ায় এসেছে নানাভাবে। প্রতিটি গণমাধ্যম এ ঘটনাকে উল্লেখ করেছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হিসেবে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশ অগ্নিকাণ্ড: ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ৪০, শতাধিক আহত’।

প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের কাছে একটি ডিপোতে আগুন আর ব্যাপক বিস্ফোরণে অন্তত ৪০ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সীতাকুণ্ডের ওই ডিপোতে বেশ কয়েকটি শিপিং কনটেইনার বিস্ফোরিত হলে কয়েকশ’ মানুষ আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ধারণা করা হচ্ছে, বেশকিছু কন্টেইনারে রাসায়নিক পদার্থ মজুত ছিল।

বাংলাদেশে শিল্প-কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সাধারণ দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য হয়ে থাকে বলে দাবি করা হয়, এমনটা উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।

আমেরিকান সংবাদ সংস্থা এপি তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশে কন্টেইনার ডিপোতে আগুনে নিহত ৪৩’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডাচ-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ ‘বিএম ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার মধ্যরাতে রাসায়নিক ভর্তি কনটেইনারে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়। এখনো একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। আগুনের ভয়াবহতার সঙ্গে নিহতের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। একের পর এক মিলছে লাশ। ইতোমধ্যে এ সংখ্যা ৪৩-এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৭ কর্মীও রয়েছেন।

আরও পড়ুন- এখনো জ্বলছে আগুন, নিহত বেড়ে ৪৩

এদিকে, কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে ‘বাংলাদেশে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে নিহত ৪৯’।

গণমাধ্যমটি বলছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি কন্টেইনার ডিপোতে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৯ জন নিহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের গণমাধ্যমেও গুরুত্বের সাথেই প্রকাশ করেছে ঘটনাটি। এনডিটিভি তাদের শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে নিহত ৪০, আহত ৪৫০ জনের বেশি।

গণমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে একটি শিপিং কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৪৫০ জন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট। ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা।

আরও পড়ুন- সরকারের অব্যবস্থাপনায় সীতাকুণ্ডের আগুন: ফখরুল

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার জানিয়েছেন, ডিপো এলাকায় পানির স্বল্পতা রয়েছে, এতে বিঘ্ন ঘটছে আগুন নিয়ন্ত্রণে। কনটেইনারের কাছাকাছি গিয়ে আগুন নেভানো যাচ্ছে না, একের পর এক বোমার মতো কনটেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে। দূর থেকে পাইপ দিয়ে পানি দেয়া হচ্ছে।